ফুটবল মাঠের অন্য এক লড়াই
পৃথিবীর ইতিহাসে যা কখনো ঘটেনি, তেমন বিস্ময়কর এক নজির স্থাপন করেছেন ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ। খেলার মাঠও যে স্বাধীনতা সংগ্রামের পাদপীঠ হয়ে উঠতে পারে, সেটা তাঁরা বাস্তবিকই বুঝিয়ে দিয়েছেন। ফুটবল মাঠে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামীরা। খেলার মাঠের এই বিমূর্ত স্বপ্ন ত্বরান্বি^ত করেছে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর এ কারণেই ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগেই ১৯১১ সালের ২৯ জুলাই মুক্তির আনন্দে উল্লসিত হয় অবিভক্ত ভারতের মুক্তিপাগল ভারতীয়রা। সেদিন সাহেবদের দল ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে উপমহাদেশের প্রথম দল হিসেবে আইএফএ শিল্ড জয় করে মোহনবাগান ক্লাব। এটি ছিল জয়ের চেয়েও বড় কিছু। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে এই প্রথম বাঙালিদের নিয়ে গড়া ভারতীয় একটি দল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তুখোড় দলগুলোকে হারিয়ে ওড়ায় বিজয়ের পতাকা। চাঞ্চল্যকর এই বিজয়ে ভারতজুড়ে সৃষ্টি হয় অভাবনীয় উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনা। এটি পরিণত হয় সর্বজনীন এক মুক্তির উৎসবে। ফুটবল হয়ে ওঠে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার। প্রতিনিয়ত ব্রিটিশদের কাছে নাজেহাল হওয়া ভারতীয়দের কাছে এটি ছিল জাতির মুক্তির সনদ। ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন