পোস্টগুলি

2011 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার সাঁতার জীবন-অরুন নন্দী

অনুলিখন-দুলাল মাহমুদ এক. আমি যে গ্রামটিতে জন্মেছি, তার চার পাশে জল আর জল। মায়ের পেটের জল ভেঙ্গে আমি এই পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর জল যেন আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে। এটা হয়ে যায় আমার বিধির লিখন। আমি জড়িয়ে পড়ি এর আষ্টেপৃষ্ঠে। এই গ্রহের তিন ভাগের দুই ভাগ জল। কত শক্তি যে সঞ্চিত আছে এই জলভাগে! জল থেকেই তো পৃথিবীর সৃষ্টি। চন্দ্রগ্রহণ আর সূর্যগ্রহণের মতো বোধকরি এই জলদেবতার আছে অলৌকিক এক ক্ষমতা। আমার কেন জানি মনে হয়, যারা সাঁতারু হিসেবে বেড়ে ওঠেন, সম্ভবত তাদের প্রতি জলদেবতার আছে প্রচ্ছন্ন এক আশীর্বাদ। মায়ের পেটে থাকতেই বোধকরি আমি জলদেবতার সেই আশীর্বাদ পেয়ে যাই। চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী গ্রামে আমার জন্ম। শৈশবের কত স্মৃতি যে জড়িয়ে আছে এ গ্রামটির সঙ্গে! আমার বুকে সাঁতারু হওয়ার স্বপ্নের বীজ বপন করে দেয় আমার প্রিয় এই গ্রামটি। এমন একটি গ্রামে জন্ম নেয়ায় এর কাছে আমার অশেষ ঋণ। আমি যেখানেই যাই, যত দূরে যাই না কেন, আমার অন্তরজুড়ে থাকে ছায়াঘেরা, পাখিডাকা অমলিন এই গ্রামখানি। এ জীবনে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। মেঘে মেঘে বেলা তো কম হলো না। সেই ১৯৪১ সালের ২৬ নভেম্বর এই ধরণীতে এসেছি। বাবা কুমুদ বন্ধু

অন্তরঙ্গ আলাপনে উনিশ ব্যক্তিত্ব-২

ছবি
ড. আনিসুজ্জামান জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে তাঁর উপস্থিতি অনিবার্য। সংগ্রামে, সংশয়ে, সংকটে, সম্ভাবনায়। তিনি আছেন। না, রাজনীতি তাঁর বিষয় নয়। সাহিত্যে তাঁর অনুরাগ। কিন্তু তিনি এড়াতে পারেন না পারিপার্শ্বিকতাকে। তাঁর বোধ-বুদ্ধি, বিবেক তাঁকে নিয়ে আসে জনতার সারিতে। সময়ের সঙ্গে অগ্রসর মানুষ ড. আনিসুজ্জামান। ড. আনিসুজ্জামানের জন্ম কলকাতায়। ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। দেশ বিভাগের পর চলে আসেন খুলনায়। শৈশব থেকেই তিনি শিল্প-সাহিত্যের অনুকূল হাওয়ায় মানুষ। শৈশবকাল সম্পর্কে ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘কলকাতায় পারিবারিক সূত্রে অনেক লেখক, সাংবাদিককে দেখা এবং তাঁদের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়। এঁদের মধ্যে ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী আব্দুল ওদুদ, জসিমউদ্দিন, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, বেনজীর আহমদ, জয়নুল আবেদীন, সুফিয়া কামাল, আহসান হাবীব, রোকনুজ্জামান খান, সিরাজউদ্দিন হোসেন, ফজলুল হক শেলবর্ষী, মোহাম্মদ মোদাব্বের উল্লেখযোগ্য। আমি কবি আহসান হাবীবের বিশেষ স্নেহ লাভ করি। আমরা তখন দৈনিক আজাদের মুকুলের মাহফিলের সদস্য এবং শিল্পী কামরুল হাসানের সর্বাধিনায়কত্বে গড়ে ওঠা মুকুল ফৌজে যোগ দিয়েছিলাম। আমি পার্ক সার্কাস হ