পোস্টগুলি

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মোহাম্মদ আলী আর ফ্ল্যাশবিহীন ছবি / দুলাল মাহমুদ

ছবি
বক্সিংয়ের প্রতি আমার কখনই ভালোবাসা ছিল না। এখনও নেই। প্রতিপক্ষকে নির্মমভাবে আঘাত ও রক্তাক্ত করার জান্তব দৃশ্য আমি দেখতেই চাই না। উপভোগ করার তো প্রশ্নই আসে না। বৈসাদৃশ্য হলেও সত্য, সেই স্কুল বয়সে এমন একজনকে মনের কোঠায় ঠাঁই দিয়েছিলাম, বক্সিং ছাড়া তিনি অন্য কিছু ভাবতেও পারতেন না। বক্সিংই ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা। ভালোবাসা তো বটেই। তাহলে কেন তিনি আমার হৃদয়ে স্থান করে নিলেন? সে এক রহস্য বটে। তবে এটা হতে পারে, তখন এমন ব্যক্তিত্ব খুব কম ছিলেন, যাঁকে বা যাঁদের নিয়ে নিয়ে গর্ব করা যায়। সে সময় মিডিয়ার তো এমন জয়জয়কার ছিল না। সাদা-কালো বাংলাদেশ টেলিভিশন আর গমের লালচে আটার মতো নিউজপ্রিন্টের সংবাদপত্রই ছিল ভরসা। কোনোটাই খুব বেশি সুলভ ছিল না। তারপরও এই দুই মাধ্যমে যাঁরা আমাদের মন জয় করে নেন, তিনি তাঁদের একজন। তিনি কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলী। সেই কিশোর বয়সে কত বিচিত্র বিষয়ে যে আকর্ষণ করতো। বক্সিংয়ের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলীর জীবন তো কম বর্ণাঢ্য ও বর্ণিল নয়। তা আকর্ষণ না করার তো কোনও কারণ নেই। স্কুলের পাঠ্য বইয়ে কি তিনি ছিলেন? স্মৃতি থেকে উদ্ধার করতে পারছি না। তবে যেভাবেই হোক, ভিয়েতনা

A nostalgic journey to Bangladesh sports

  https://www.facebook.com/profile.php?id=100083219144644
ছবি

ক্রিকেট কি ম্লান করে দিচ্ছে আর সব খেলাকে?

ছবি
একটা সময় বলতে গেলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা স্টেডিয়াম চত্বর। দু’একটি খেলা ব্যতীত সে সময়কার প্রচলিত প্রায় প্রতিটি খেলার আসর বসতো ঐতিহাসিক পল্টন এলাকায়। আশির দশকের একদম গোড়াতে ঢাকা স্টেডিয়ামের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে ওঠার পর সকাল-সন্ধ্যা কেটে যেত খেলায় খেলায়। তবে খেলোয়াড় নয়, দর্শক হিসেবে। দিনভর কোনো না কোনো খেলা লেগেই থাকত। প্রতিটি খেলাই আয়োজিত হতো জমজমাটভাবে। তাতে থাকত প্রাণের স্ফূর্তি। কোনো জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হলে মনে হতো, যেন কোনো উৎসব চলছে। আয়োজনে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি থাকত না। উৎসাহী দর্শকের কোনো কমতি ছিল না। খেলোয়াড়, সংগঠক ও দর্শকদের সম্মিলনে পুরো পরিবেশ হয়ে উঠতো উৎসবমুখর। প্রতিটি খেলায় কম-বেশি তারকা খেলোয়াড় ছিল। সবাই তাঁদের চিনতেন এক নামে। সেই খেলোয়াড়দের সবাই আপন মনে করতেন। খেলোয়াড় হিসেবে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারাটা ছিল সে সময় অনেক বড় ব্যাপার। সেটা নিয়েই সবাই সন্তুষ্ট থাকতেন।  তখন তো ফুটবলের ছিল তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। ফুটবলাররাই ছিলেন তখন সবচেয়ে বড় তারকা। তাঁদের নিয়ে ছিল তুমুল মাতামাতি। ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে সেই উচ্ছ্বাস, সেই উদ্দীপনা

কোথায় সেই ফুটবল?

ছবি
আমাদের শৈশবটা ছিল ফুটবলময়। সেই সত্তর দশকে ফুটবলই ছিল বিনোদনের অন্যতম অবলম্বন। যদিও সাদা-কালো টেলিভিশন ছিল। সেটা একদমই সুলভ ছিল না। তা দেখার জন্য কারও না কারও দ্বারস্থ হতে হতো। আর ছিল আদি ও অকৃত্রিম বাংলাদেশ বেতার। বেতার ছাড়া ফুটবল খেলাটাই ছিল সবচেয়ে সহজলভ্য। দুটিরই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বিনোদন। একটি ঘরের। আরেকটি বাইরের। তবে বেতার ও ফুটবল ছিল একে অপরের পরিপূরক। ফুটবল সম্প্রচারে বেতারের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেতারের মাধ্যমে ঢাকা স্টেডিয়ামের ফুটবল হয়ে ওঠতো সমগ্র দেশের ফুটবল। ফুটবলের স্পন্দন ছড়িয়ে পড়তো হাওয়ায় হাওয়ায়। সে এক সময় গেছে, যখন চারপাশেই ফুটবল আর ফুটবল। তখন তো মাঠ ছিল অবারিত। জীবনও জটিল ছিল না। মনটা ছিল আকাশের মতো প্রসারিত। এর কারণ, আসমান ছিল খোলামেলা। কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই চাইলেই আকাশ দেখা যেত। নিঃশ্বাস নেওয়া যেত বিশুদ্ধ হাওয়ায়। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ফুটবল নিয়ে মেতে থাকতেন সব বয়সী মানুষ। বিকেল হলেই হাফ প্যান্ট কিংবা লুঙ্গি মালকাছা মেরে নেমে পড়তেন। কখনও কখনও সকালেও খেলা হতো। যত জন খেলতেন, তারচেয়ে বেশি মানুষ উপভোগ করতেন। ফুটবল ম্যাচ হতো এক পাড়ার সঙ্গে আরেক পাড়ার, এক মহল্ল

৩২ বছর আগের স্মৃতি/দুলাল মাহমুদ

ছবি
আশির দশকের একদম শুরুতেই ঘরোয়া হকির সঙ্গে গড়ে ওঠে কিঞ্চিৎ যোগাযোগ। ফুটবল আর ক্রিকেটের ফাঁকে ফাঁকে লেখালেখির প্রয়োজনে কখনো-সখনো ছুটতে হয়েছে হকি মাঠে। তবে মনোযোগটা খুব বেশি গভীর ছিল, সেটা বলা যাবে না। বড় বড় ম্যাচগুলো আকর্ষণ করলেও হকিটা সে সময় মনের পটে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারে নি। এর একটা কারণ হতে পারে, ১৯৭৮ সালের ব্যাংকক এশিয়ান গেমসের হকিতে পাকিস্তানের কাছে ১৭-০ গোলে পরাজয়ের লজ্জাটা বুকের গভীরে চেপে বসে। দুঃসহ এই স্মৃতি ক্রীড়ানুরাগীদের মতো আমাকেও তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতে থাকে। এরপর থেকে হকির প্রতি আকর্ষণ দেখানোর ক্ষেত্রে একটা সংকোচ বোধ হওয়াই স্বাভাবিক। এটা মনে হতে থাকে, আর যাই-ই হোক, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে হকি দিয়ে অন্তত জাতে ওঠা যাবে না। অবশ্য সেই ভুলটা এক সময় ভেঙে যায়। কানায় কানায় পূর্ণ ঢাকা স্টেডিয়াম প্রকৃতঅর্থে ১৯৮৫ সালে বদলে যায় মনোজগত। হকি স্টিকের মধ্যেও যে জাদু আছে, সেটা তখন অনেক বেশি অনুধাবন করতে পেরেছিলাম। পান করেছিলাম হকির অমিয় সুধা। সে বছর ২০ থেকে ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় এশিয়া কাপ হকি। এরআগে আগা খান গোল্ড কাপ ফুটবল, ২০তম এশিয়ান যুব ফুটবল, প্রেসিডে

‘গুরুত্বহীন’ হয়ে যাওয়া সেই ম্যাচের কথা!

ছবি
       হল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ ব্যাটিং করেন আকরাম খান। অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে              ক্রিকেট ইতিহাসে সেই ম্যাচটির কোনো গুরুত্ব নেই। থাকার কথাও নয়। ক্রিকেটের দীর্ঘ ইতিবৃত্তে এমন কত ম্যাচই তো আয়োজিত হয়েছে, কে আর তা মনে রাখে? এমনকি যে ম্যাচটি ছিল একটি দেশের মর্যাদার লড়াই, সম্মানের লড়াই, ইতিহাস গড়ার লড়াই, সেই তাদের কাছেও বোধকরি এর তাৎপর্য ও প্রাধান্য অনেকখানি ফিকে হয়ে গেছে। কে আর পুরানো সেই দিনের কথা মনে রাখে? যা চলে যায়, তা বোধকরি হারিয়ে যায়। আসলে কি হারিয়ে যায়? অন্তত যে প্রজন্ম সেই সময় এমন একটি সন্ধিক্ষণকে দেখতে পেয়েছেন, অনুভব করতে পেরেছেন কিংবা শুনতে পেয়েছেন, তাঁদের কাছে এর আবেদন কখনও ফুরিয়ে যায় না। যেতে পারে না। ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার যে সিঁড়ি, সেটিও ফিরে ফিরে আসে ইতিহাসেরই প্রয়োজনে। সেই দিনটিতে উদগ্রীব হয়ে ছিল পুরো বাংলাদেশ। শুধু বাংলাদেশইবা বলি কেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকরা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্থিরতা নিয়ে অপেক্ষায় থেকেছেন। এ যেন অবজ্ঞা, অনাদর ও অমর্যাদা থেকে মুক্তির রুদ্রশ্বাস প্রতীক্ষা। এ ম্যাচের জয়ের সনদ পেলে অনেকটাই বদলে যাবে জীবনের আক্ষেপ, অপ্র

স্বপ্ন আছে বাস্তবায়ন নেই

ছবি
আমরা বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আর এই স্বপ্নের পরিধি বোধকরি আকাশের থেকেও বড়। যে কারণে বড় বড় বিষয় নিয়ে মেতে থাকতেই আমরা পছন্দ করি। ছোট-খাট বিষয় নিয়ে খুব একটা আগ্রহ নেই। এমনকি নিজের দেশকে অবহেলা করতেও খুব একটা দ্বিধা হয় না। এই তো কয়েক দিন আগে অনুষ্ঠিত হলো ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফুটবল। ফুটবলের এই মহোৎসবের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব যোজন যোজন। তাতে কি? বিশ্বকাপে বাংলাদেশ না থাকুক, বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে তো বাধা নেই। এ কারণে ‘দ্য গ্রেটেষ্ট শো অন আর্থ’ নিয়ে বাংলাদেশে উন্মাদনার কোনো কমতি ছিল না। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রতিটি দলেরই কম-বেশি সমর্থক বাংলাদেশে আছে। আর ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশে তাঁদের অনুরাগীরা যা করেন, তার কোনো তুলনা চলে না। এই দুই দেশের যত পতাকা বাংলাদেশে উড়েছে, তত পতাকা ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনায়ও উড়ে না। বিশ্বকাপ নিয়ে এ দেশের মানুষের এই যে স্বপ্ন, এরসঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। তবুও স্বপ্ন কিন্তু থেমে নেই। ফুটবল অনুরাগীরা তো ভালো ফুটবলের সমঝদার হিসেবেই নিজেদের দাবি করেন। এ কারণে তাঁরা বিশ্বকাপ, ইউরোপীয় লিগের মতো বড় বড় আসর নিয়েই মেতে থাকেন। দেশের ফ