পোস্টগুলি

2012 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ক্রীড়া, ক্রীড়াসংস্কৃতি ও ক্রীড়ালেখক সমিতি / দুলাল মাহমুদ

ছবি
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ খেলাধুলা। খেলোয়াড়রা ধারণ করেন উন্নত ও উদার সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ। একটি দেশ বা জাতি তখনই খেলাধুলায় উন্নতি করতে পারে, যখন গড়ে ওঠে তার ক্রীড়া সংস্কৃতি। দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য পেতে হলে কিংবা সবার মাঝে খেলাধুলার উপকারিতা, গুরুত্ব ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে হলে ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে তোলাটা অপরিহার্য। বিশেষত, আমাদের মতো পিছিয়ে পড়া দেশে এটা খুবই প্রয়োজনীয়। এখন মনে হতে পারে, খেলাধুলা তো স্রেফ বিনোদনের অংশ। তার আবার কীসের সংস্কৃতি? এমন প্রশ্ন উত্থাপিত হলে বলা যেতে পারে, সংগীত, নৃত্য, নাটক, সিনেমা, শিল্পকলাও তো বিনোদনেরই মাধ্যম। এসব মাধ্যম তো সংস্কৃতির অংশ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত। নানানভাবে চলছে এর চর্চা। এর মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সাংস্কৃতিক চেতনা। এজন্য আছে অনেক সংগঠন। আছে নানান রকম কার্যক্রম। তাহলে খেলাধুলা কেন নয়? খেলাধুলার চর্চা কি সীমিত পরিসরে বন্দী হয়ে থাকবে? নাকি কেবলই হুজুক হয়ে থাকবে? আমাদের দেশে খেলাধুলার চর্চা চলছে অনেক আগে থেকেই। বিপুল জনগোষ্ঠিকে ছুঁয়ে যায় বিনোদনের এই মাধ্যমটি। দারুণভাবে তাঁদেরকে প্রভাবিতও করে। এমন একটা অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও ক্রীড়া সংস

সোনালি অতীতের দিনগুলো-৩ / বশীর আহমেদ

১ এপ্রিল ২০১২ (পঁচানব্বই) আউটার স্টেডিয়ামে ৯-৬-৬৭ তারিখের খেলায় পুলিশ পাইওনিয়ারের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল। বিরতির পূর্বে পুলিশ অনবরত আক্রমণ চালিয়েও গোল পায়নি, উল্টো খেলার ১২ মিনিটে পাইওনিয়ারের সেন্টার ফরোয়ার্ড আলিম পুলিশের ঢিলেঢালা ডিফেন্সে ঢুকে মালাকারকে কাটিয়ে গোল করে পুলিশ টিমকে থ বানিয়ে দেয়। গোল শোধ করার জন্য আক্রমণ চালালেও পাইওনিয়ারের তরুণ রক্ষণভাগের ফাটল ধরাতে পারেনি। বিরতির পর পাইওনিয়ারের তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদেরকে সুসংহত করে আরো গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে, যার জন্য পুলিশের ফরোয়ার্ড লাইন কিছুতেই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছিল না- পুলিশের পুরো টিম গোল শোধ করতে ওপরে উঠে আসে। পাইওনিয়ারের সেন্টার ফরোয়ার্ড আলিম একটি থ্রু পাস ধরে দ্রুত পুলিশের সীমানায় ঢুকে লেফট আউট নওয়াব বক্সে এসে যায়গা নিল, যেখানে আলিমকে বল পাস দিতে কোন চিন্তা করতে হয়নি আর নোয়াবও সঠিক জায়গায় বল পাঠাতে ভুল করেনি। ২-০ গোলের পরাজয় এড়াতে পুলিশ তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেও ভাগ্যের এতটুকু সহায়তা লাভ করতে পারেনি। ১০ জুন মোহামেডান শেষ মুহূর্তের গোলে উতরে গিয়েছিল আর তারই মাধ্যমে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছিল ভিক্টোরিয়া। মোহ

সোনালি অতীতের দিনগুলো-২ / বশীর আহমেদ

(আটচল্লিশ) একটি আত্মঘাতী গোল ঢাকা মোহামেডান কাবের লীগ চ্যাম্পিয়নশীপের স্বপ্নকে এলোমেলো করে দিয়েছিল। ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগের প্রথম পর্বের শেষ খেলায় লীগ প্রত্যাশী দুটি দল মোহামেডান এবং ভিক্টোরিয়া ১২-৭-৬৩ তারিখে ঢাকা স্টেডিয়ামে তাদের পূর্ণ শক্তি নিয়ে ফুটবল লড়াইয়ে নেমেছিল। দর্শকে ভরা স্টেডিয়াম খেলার গতি, ব্যক্তিগত নৈপুণ্য, দলীয় সমঝোতা, সুন্দর বল আদান-প্রদান আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ সব মিলিয়ে একটি উঁচু মানের ফুটবল খেলা উপভোগ করেছিল দর্শকরা। দু’দলের খেলোয়াড়রা মন উজাড় করে খেলছি সেদিন, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা বেশ জমে উঠেছিল, উপভোগ্য হয়েছিল। উত্তেজনা যেমন মাঠের ভেতর ছিল, তেমনি ছিল গ্যালারিতে। গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়েছিল প্রথমার্ধ। দু’দলই গোল করার জন্য সব ধরনের কলাকৌশল প্রয়োগ করে যাচ্ছিল দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম থেকেই। মাঝামাঝি (দ্বিতীয়ার্ধের সময় ভিক্টোরিয়ার বামদিক দিয়ে একটি আক্রমণ আমাদের রক্ষণভাগে ঢুকে পড়লে লেফট আউট বড় ইউসুফ তার দলের খেলোয়াড়দের উদ্দেশে সেন্টার করেÑ যা আমাদের ডিফেন্ডার কিয়ার করতে গিয়ে বল কাট করলে নিজ গোলে ঢুকে যায়, গোলারক্ষক আটকাবার সুযোগই পায়নি। গোল...। আমরা হতবাক হয়ে তাকিয়ে থ