আপন ভুবনের রাজা কাজী কামাল/ দুলাল মাহমুদ
বাঙালির ইতিহাসে একাত্তর অমলিন। সে ছিল বাঙালির জন্য চরম এক অগ্নিপরীক্ষা। আর এই পরীক্ষায় জীবনবাজি রাখেন বাংলার মানুষ। সে সময় খেলার মাঠ ও যুদ্ধের মাঠ হয়ে যায় একাকার। তবে জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন- এমন ক্রীড়াবিদের সংখ্যা খুব বেশি নেই। তাছাড়া পাকিস্তান আমলে বাঙালি কোনো ক্রীড়াবিদের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা ছিল অসম্ভব এক চাওয়া। ফুটবল, সাঁতারের মতো খেলায় যা হোক বেশ কয়েকজন সুযোগ পেয়েছেন, অন্যান্য খেলায় তা পাওয়া ছিল বিস্ময়কর ঘটনা। বাস্কেটবলের মতো পশ্চিম পাকিস্তানের নিরঙ্কুশ আধিপত্যের খেলায় জাতীয় দলের ট্রায়ালে ডাক পেয়েছিলেন বাঙালি খেলোয়াড় কাজী কামালউদ্দিন আহমেদ। একজন বাঙালি বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের জন্য যা ছিল রীতিমত স্বপ্নের ব্যাপার। অথচ এই স্বপ্নের পথে তিনি হাঁটেননি। জাতীয় দলের ট্রায়ালে ডাক পাওয়ার প্রলোভন দু’হাতে সরিয়ে দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে নিজেকে উৎসর্গ করার চেয়ে আর কোনো কিছুই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়নি। মা, মাটি ও মাতৃভূমি যার বুকের গভীরে আঁকা চিরস্থায়ীভাবে, তার পক্ষে জীবনবাজি রাখা অসম্ভব কিছু নয়। পূর্ব ...