পোস্টগুলি

জানুয়ারী ৭, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ক্রিকেট কি ম্লান করে দিচ্ছে আর সব খেলাকে?

ছবি
একটা সময় বলতে গেলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা স্টেডিয়াম চত্বর। দু’একটি খেলা ব্যতীত সে সময়কার প্রচলিত প্রায় প্রতিটি খেলার আসর বসতো ঐতিহাসিক পল্টন এলাকায়। আশির দশকের একদম গোড়াতে ঢাকা স্টেডিয়ামের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে ওঠার পর সকাল-সন্ধ্যা কেটে যেত খেলায় খেলায়। তবে খেলোয়াড় নয়, দর্শক হিসেবে। দিনভর কোনো না কোনো খেলা লেগেই থাকত। প্রতিটি খেলাই আয়োজিত হতো জমজমাটভাবে। তাতে থাকত প্রাণের স্ফূর্তি। কোনো জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হলে মনে হতো, যেন কোনো উৎসব চলছে। আয়োজনে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি থাকত না। উৎসাহী দর্শকের কোনো কমতি ছিল না। খেলোয়াড়, সংগঠক ও দর্শকদের সম্মিলনে পুরো পরিবেশ হয়ে উঠতো উৎসবমুখর। প্রতিটি খেলায় কম-বেশি তারকা খেলোয়াড় ছিল। সবাই তাঁদের চিনতেন এক নামে। সেই খেলোয়াড়দের সবাই আপন মনে করতেন। খেলোয়াড় হিসেবে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারাটা ছিল সে সময় অনেক বড় ব্যাপার। সেটা নিয়েই সবাই সন্তুষ্ট থাকতেন।  তখন তো ফুটবলের ছিল তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। ফুটবলাররাই ছিলেন তখন সবচেয়ে বড় তারকা। তাঁদের নিয়ে ছিল তুমুল মাতামাতি। ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে সেই উচ্ছ্বাস, সেই উদ্দীপনা

কোথায় সেই ফুটবল?

ছবি
আমাদের শৈশবটা ছিল ফুটবলময়। সেই সত্তর দশকে ফুটবলই ছিল বিনোদনের অন্যতম অবলম্বন। যদিও সাদা-কালো টেলিভিশন ছিল। সেটা একদমই সুলভ ছিল না। তা দেখার জন্য কারও না কারও দ্বারস্থ হতে হতো। আর ছিল আদি ও অকৃত্রিম বাংলাদেশ বেতার। বেতার ছাড়া ফুটবল খেলাটাই ছিল সবচেয়ে সহজলভ্য। দুটিরই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বিনোদন। একটি ঘরের। আরেকটি বাইরের। তবে বেতার ও ফুটবল ছিল একে অপরের পরিপূরক। ফুটবল সম্প্রচারে বেতারের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেতারের মাধ্যমে ঢাকা স্টেডিয়ামের ফুটবল হয়ে ওঠতো সমগ্র দেশের ফুটবল। ফুটবলের স্পন্দন ছড়িয়ে পড়তো হাওয়ায় হাওয়ায়। সে এক সময় গেছে, যখন চারপাশেই ফুটবল আর ফুটবল। তখন তো মাঠ ছিল অবারিত। জীবনও জটিল ছিল না। মনটা ছিল আকাশের মতো প্রসারিত। এর কারণ, আসমান ছিল খোলামেলা। কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই চাইলেই আকাশ দেখা যেত। নিঃশ্বাস নেওয়া যেত বিশুদ্ধ হাওয়ায়। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ফুটবল নিয়ে মেতে থাকতেন সব বয়সী মানুষ। বিকেল হলেই হাফ প্যান্ট কিংবা লুঙ্গি মালকাছা মেরে নেমে পড়তেন। কখনও কখনও সকালেও খেলা হতো। যত জন খেলতেন, তারচেয়ে বেশি মানুষ উপভোগ করতেন। ফুটবল ম্যাচ হতো এক পাড়ার সঙ্গে আরেক পাড়ার, এক মহল্ল