পোস্টগুলি

2017 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

৩২ বছর আগের স্মৃতি/দুলাল মাহমুদ

ছবি
আশির দশকের একদম শুরুতেই ঘরোয়া হকির সঙ্গে গড়ে ওঠে কিঞ্চিৎ যোগাযোগ। ফুটবল আর ক্রিকেটের ফাঁকে ফাঁকে লেখালেখির প্রয়োজনে কখনো-সখনো ছুটতে হয়েছে হকি মাঠে। তবে মনোযোগটা খুব বেশি গভীর ছিল, সেটা বলা যাবে না। বড় বড় ম্যাচগুলো আকর্ষণ করলেও হকিটা সে সময় মনের পটে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারে নি। এর একটা কারণ হতে পারে, ১৯৭৮ সালের ব্যাংকক এশিয়ান গেমসের হকিতে পাকিস্তানের কাছে ১৭-০ গোলে পরাজয়ের লজ্জাটা বুকের গভীরে চেপে বসে। দুঃসহ এই স্মৃতি ক্রীড়ানুরাগীদের মতো আমাকেও তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতে থাকে। এরপর থেকে হকির প্রতি আকর্ষণ দেখানোর ক্ষেত্রে একটা সংকোচ বোধ হওয়াই স্বাভাবিক। এটা মনে হতে থাকে, আর যাই-ই হোক, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে হকি দিয়ে অন্তত জাতে ওঠা যাবে না। অবশ্য সেই ভুলটা এক সময় ভেঙে যায়। কানায় কানায় পূর্ণ ঢাকা স্টেডিয়াম প্রকৃতঅর্থে ১৯৮৫ সালে বদলে যায় মনোজগত। হকি স্টিকের মধ্যেও যে জাদু আছে, সেটা তখন অনেক বেশি অনুধাবন করতে পেরেছিলাম। পান করেছিলাম হকির অমিয় সুধা। সে বছর ২০ থেকে ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় এশিয়া কাপ হকি। এরআগে আগা খান গোল্ড কাপ ফুটবল, ২০তম এশিয়ান যুব ফুটবল, প্রেসিডে

‘গুরুত্বহীন’ হয়ে যাওয়া সেই ম্যাচের কথা!

ছবি
       হল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ ব্যাটিং করেন আকরাম খান। অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে              ক্রিকেট ইতিহাসে সেই ম্যাচটির কোনো গুরুত্ব নেই। থাকার কথাও নয়। ক্রিকেটের দীর্ঘ ইতিবৃত্তে এমন কত ম্যাচই তো আয়োজিত হয়েছে, কে আর তা মনে রাখে? এমনকি যে ম্যাচটি ছিল একটি দেশের মর্যাদার লড়াই, সম্মানের লড়াই, ইতিহাস গড়ার লড়াই, সেই তাদের কাছেও বোধকরি এর তাৎপর্য ও প্রাধান্য অনেকখানি ফিকে হয়ে গেছে। কে আর পুরানো সেই দিনের কথা মনে রাখে? যা চলে যায়, তা বোধকরি হারিয়ে যায়। আসলে কি হারিয়ে যায়? অন্তত যে প্রজন্ম সেই সময় এমন একটি সন্ধিক্ষণকে দেখতে পেয়েছেন, অনুভব করতে পেরেছেন কিংবা শুনতে পেয়েছেন, তাঁদের কাছে এর আবেদন কখনও ফুরিয়ে যায় না। যেতে পারে না। ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার যে সিঁড়ি, সেটিও ফিরে ফিরে আসে ইতিহাসেরই প্রয়োজনে। সেই দিনটিতে উদগ্রীব হয়ে ছিল পুরো বাংলাদেশ। শুধু বাংলাদেশইবা বলি কেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকরা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্থিরতা নিয়ে অপেক্ষায় থেকেছেন। এ যেন অবজ্ঞা, অনাদর ও অমর্যাদা থেকে মুক্তির রুদ্রশ্বাস প্রতীক্ষা। এ ম্যাচের জয়ের সনদ পেলে অনেকটাই বদলে যাবে জীবনের আক্ষেপ, অপ্র