পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

‘ত্যাগ চাই, মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না!’/ দুলাল মাহমুদ

ছবি
বিপরীত মেরুর দুই দেশ। কোনোভাবেই এই দুই দেশের তুলনা হয় না। দূরত্বে তো বটেই। উভয় দেশের মধ্যে বয়ে গেছে কত সাগর আর মহাসাগর। আর ক্রিকেটে তো আকাশ-পাতাল পার্থক্য। একটি দেশ সবে পাঠ নিচ্ছে ক্রিকেটে। অপর দেশটি ক্রিকেটের পরাক্রম পরাশক্তি। পর্যায়ক্রমে এমন বিপরীতমুখী দুই দেশ মধ্য এশিয়ার আফগানিস্তান এবং মহাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে ভৌগলিকভাবে এই দুই দেশের মধ্যিখানে অবস্থান করা বাংলাদেশের। এজন্য মানসিক প্রস্তুতির ধকলও কম নয়। তবে বাংলাদেশের বিপরীতে আফগানরা যেমন নির্ভার হয়ে খেলেছে, তেমনিভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশেরও নির্ভার থাকার কথা। এটা তো আর লেখার অপেক্ষা রাখে না, অজিদের টাইগাররা হারাতে পারলে বীরোচিত সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। আর না পারলেও আফসোস করার কিছু থাকবে না। তবুও মন স্বপ্ন দেখে অসম্ভবকে সম্ভব করার। এটা অনেকটা অসাধ্য হলেও চেষ্টা তো করাই যেতে পারে। দুশ্চিন্তার দীর্ঘ রজনী পেরিয়ে আফগানদের হেসে-খেলে হারানো গেলেও এখন এমন এক প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়তে হবে, ক্রিকেটে যাদের শৌর্য-বীর্য আর প্রতিপত্তির একটুও কমতি নেই। নিজের মাঠে পঞ্চমবার শিরোপা জয়ের অপেক্ষায় টগবগিয়ে ফুট

তবুও দুর্ভাবনা ছাড়ছে না/ দুলাল মাহমুদ

ছবি
এরচেয়ে ভালো শুরু আর হতে পারে না। এরচেয়ে স্বস্তিদায়ক আর কিছু ছিল না। এ যেন বুক থেকে পাষাণভার নেমে যাওয়ার যুগপৎ স্বস্তি ও আনন্দ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অভিযাত্রায় এমন স্বস্তি ও আনন্দ ছিল প্রত্যাশিত। প্রত্যাশার সেই রঙে রাঙিয়ে দিয়েছেন আমাদের ক্রিকেটাররা। এমনিতে আইসিসির সহযোগী সদস্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ে আহ্লাদে আটখানা হওয়ার কিছু নেই। তবে বিশ্বকাপের শুরু থেকে গলায় কাঁটা বেধার অস্বস্তি নিয়ে ছিল আফগানিস্তান দলটি। বছরখানেক আগে ওয়ান ডে ক্রিকেটে একবার মুখোমুখি হয়ে তাতে আফগানদের কাছে হেরে যাওয়ার গ্লানির মর্মযাতনা ভুলে যাওয়ার নয়। এ কারণে একটা অঘটন ঘটার শঙ্কায় আচ্ছন্ন করে রেখেছিল দেশের ক্রিকেটানুরাগীদের। বর্ষাকালে যদি বৃষ্টি না হয়, তখন যেমন অস্বস্তি ও আশঙ্কা দেখা দেয়, তেমনই ছিল আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিনগুলো। এখন স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজছে পুরো বাংলাদেশ। এই ম্যাচ শুধু স্বস্তি এনে দেয়নি, দিয়েছে আত্মবিশ্বাস অর্জনের পুঁজিও। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কতটা কী করতে পারবে, সেটা পরের ব্যাপার। কিন্তু শুরুতেই যদি আফগানদের লম্ফ-ঝম্পের কাছে হার মানতে হতো, তাহলে সমালোচনার তীব্র ঝড়ে আক্রান্ত হতো বাংলাদেশ ক্র

‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়’ / দুলাল মাহমুদ

ছবি
যতই সময় ঘনিয়ে আসছে, ভাবগতিক খুব একটা ভালো লাগছে না। মনের মধ্যে অকারণেই ডানা ঝাপটাচ্ছে অস্থির পাখি। কেন যে এমন হচ্ছে! একদমই বুঝতে পারছি না। প্রত্যাশার চাপ কি সইতে পারছি না? নাকি আত্মবিশ্বাসের খামতি? অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা থেকে ৬ হাজার মাইল দূরত্বে ঢাকায় অবস্থান করে, আমার যদি এমনটি হয়, আর যারা মাঠে খেলবেন, তাদের মনের অবস্থা কী? বুকের মধ্যে নিশ্চয়ই টগবগিয়ে ফুটছে আগুনের লেলিহান শিখা। অবশ্য আমার বিশ্বাস, আমাদের আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী ক্রিকেটাররা যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত। ক্রিকেটারদের মতো যদি আমার সাহস থাকতো, তাহলে তো কোনো কথাই ছিল না। সেই সাহস, সেই আত্মবিশ্বাস নেই বলেই তো আমার মতো দুর্বল মনের মানুষ মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে পারছে না। তবে ভরসা এই যে, মেঘ দেখে যে ঝড়ের আশঙ্কা করে, তার কথা গুরুত্ব না দিলেই হয়। কী বলেন? আসলে নানান সমীকরণ করতে গিয়ে কোনো তাল পাচ্ছি না। কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে সব হিসেব-নিকেশ। কোনো হিসেবেই মিলাতে পারছি না। অবশ্য মিলবে কীভাবে? খেলা তো আর অঙ্ক নয় যে দুই দুইয়ে চার হবে। আর ক্রিকেট তো গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। অন্তত ক্রিকেটে আগাম কিছু বলা মোটেও বুদ্ধিমানে