পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৭, ২০১১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার সাঁতার জীবন-অরুন নন্দী

অনুলিখন-দুলাল মাহমুদ এক. আমি যে গ্রামটিতে জন্মেছি, তার চার পাশে জল আর জল। মায়ের পেটের জল ভেঙ্গে আমি এই পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর জল যেন আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে। এটা হয়ে যায় আমার বিধির লিখন। আমি জড়িয়ে পড়ি এর আষ্টেপৃষ্ঠে। এই গ্রহের তিন ভাগের দুই ভাগ জল। কত শক্তি যে সঞ্চিত আছে এই জলভাগে! জল থেকেই তো পৃথিবীর সৃষ্টি। চন্দ্রগ্রহণ আর সূর্যগ্রহণের মতো বোধকরি এই জলদেবতার আছে অলৌকিক এক ক্ষমতা। আমার কেন জানি মনে হয়, যারা সাঁতারু হিসেবে বেড়ে ওঠেন, সম্ভবত তাদের প্রতি জলদেবতার আছে প্রচ্ছন্ন এক আশীর্বাদ। মায়ের পেটে থাকতেই বোধকরি আমি জলদেবতার সেই আশীর্বাদ পেয়ে যাই। চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী গ্রামে আমার জন্ম। শৈশবের কত স্মৃতি যে জড়িয়ে আছে এ গ্রামটির সঙ্গে! আমার বুকে সাঁতারু হওয়ার স্বপ্নের বীজ বপন করে দেয় আমার প্রিয় এই গ্রামটি। এমন একটি গ্রামে জন্ম নেয়ায় এর কাছে আমার অশেষ ঋণ। আমি যেখানেই যাই, যত দূরে যাই না কেন, আমার অন্তরজুড়ে থাকে ছায়াঘেরা, পাখিডাকা অমলিন এই গ্রামখানি। এ জীবনে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। মেঘে মেঘে বেলা তো কম হলো না। সেই ১৯৪১ সালের ২৬ নভেম্বর এই ধরণীতে এসেছি। বাবা কুমুদ বন্ধু