পোস্টগুলি

নভেম্বর ২০, ২০১১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অন্তরঙ্গ আলাপনে উনিশ ব্যক্তিত্ব-২

ছবি
ড. আনিসুজ্জামান জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে তাঁর উপস্থিতি অনিবার্য। সংগ্রামে, সংশয়ে, সংকটে, সম্ভাবনায়। তিনি আছেন। না, রাজনীতি তাঁর বিষয় নয়। সাহিত্যে তাঁর অনুরাগ। কিন্তু তিনি এড়াতে পারেন না পারিপার্শ্বিকতাকে। তাঁর বোধ-বুদ্ধি, বিবেক তাঁকে নিয়ে আসে জনতার সারিতে। সময়ের সঙ্গে অগ্রসর মানুষ ড. আনিসুজ্জামান। ড. আনিসুজ্জামানের জন্ম কলকাতায়। ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। দেশ বিভাগের পর চলে আসেন খুলনায়। শৈশব থেকেই তিনি শিল্প-সাহিত্যের অনুকূল হাওয়ায় মানুষ। শৈশবকাল সম্পর্কে ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘কলকাতায় পারিবারিক সূত্রে অনেক লেখক, সাংবাদিককে দেখা এবং তাঁদের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়। এঁদের মধ্যে ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী আব্দুল ওদুদ, জসিমউদ্দিন, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, বেনজীর আহমদ, জয়নুল আবেদীন, সুফিয়া কামাল, আহসান হাবীব, রোকনুজ্জামান খান, সিরাজউদ্দিন হোসেন, ফজলুল হক শেলবর্ষী, মোহাম্মদ মোদাব্বের উল্লেখযোগ্য। আমি কবি আহসান হাবীবের বিশেষ স্নেহ লাভ করি। আমরা তখন দৈনিক আজাদের মুকুলের মাহফিলের সদস্য এবং শিল্পী কামরুল হাসানের সর্বাধিনায়কত্বে গড়ে ওঠা মুকুল ফৌজে যোগ দিয়েছিলাম। আমি পার্ক সার্কাস হ

অন্তরঙ্গ আলাপনে উনিশ ব্যক্তিত্ব

কাজী আনোয়ার হোসেন চারপাশের হল্লা থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন তিনি। একান্তে নিজেকে নিয়ে সৃষ্টি করেছেন নিভৃতে নিজস্ব এক জগত। কে কি বললো, তা তিনি কেয়ার করেন না। আড়ালে থেকে কাজ করতে পছন্দ করেন। তবে যা বলেন স্পষ্ট ও সরাসরি। এ কারণে তাঁর পক্ষেই নির্দ্বিধায় বলা সম্ভবÑ ‘যেমনটি আছি, যে কাজ করছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারতাম বলে মনে হয় না। আমার পক্ষে যা সম্ভব, তাই করেছি। আমার কোনো অভিযোগ নেই।’ ৫৪ বছর বয়সেও উচ্ছল কিশোরের মতো বললেন : আমার ছেলেমানুষী আজও কাটাতে পারলাম না। একটা বয়সে আমি থেমে আছি। আর বোধহয় ‘বড়’ হতে পারবো না। আমিও আর বড় হতে চাই না। যেমন আছি, ভালো আছি। সবাই তো আর বড় হতে পারে না। যাই হোক, নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারলেও নিজের খ্যাতি ও সাফল্যকে আড়াল করতে পারেননি। তিনি কাজী আনোয়ার হোসেন। মাসুদ রানা, কুয়াশা ও সেবা প্রকাশনীখ্যাত কাজী আনোয়ার হোসেনের পরিচয় ও প্রতিভা অনেক ক্ষেত্রে বিস্তৃত। সেসব টেনে এনে লাজুক, অন্তর্মুখী কাজী আনোয়ার হোসেনকে বিব্রত করার কোনো মানে হয় না। বরং তাঁর সঙ্গে কথা বলা যাক। নিজের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমার কাজের মাধ্যমে সমাজকে আমি এগিয়ে নিচ্