পোস্টগুলি

2015 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুলাল মাহমুদের প্রকাশিত গ্রন্থের প্রচ্ছদসমূহ

ছবি

বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কি কেবল ভারত? দুলাল মাহমুদ

ছবি
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কি কেবলই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত? আপাতদৃষ্টিতে তেমন মনে হলেও বাংলাদেশকে কিন্তু অনেক প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে হবে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট এমন এক মঞ্চ, যার আড়ালে লুকিয়ে থাকে অনেক রহস্য, অনেক লুকোচুরি, অনেক হিসাবের খেলা। আর এখন তো বিশ্বকাপে বেলাগাম অর্থের ছড়াছড়ি। অর্থের উৎস যেখানে অফুরন্ত, সেই সূত্র তো কোনো নাদানও বন্ধ করতে চাইবে না। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তো অর্থকড়ি বিষয়টাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইচ্ছেমতো। বড় দলগুলোর মর্জিমাফিক চলতে গিয়ে বিপদে ফেলছে ছোট দলগুলোকে। তাছাড়া যেখানে আছে অর্থের প্রলোভন, সেখানে জড়িয়ে থাকে নানান স্বার্থ, ধূর্ততা ও চালবাজি। যে কারণে বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও অনেক কিছু নির্ধারিত হয় পর্দার অন্তরালে। গ্রুপ পর্বে হয়তো এই বিষয়গুলো তেমন গুরুত্ব পায় না। একেবারেই যে পায় না, সেটাও বলা যাবে না। এবার যেমন ভারত পেয়েছে ভেন্যু সুবিধা। অস্ট্রেলিয়ায় খেলেছে টানা চার ম্যাচ এবং পরবর্তী দুই ম্যাচ নিউজিল্যান্ডে। বাংলাদেশের মতো অর্থনৈতিকভাবে অনুজ্জ্বল দলগুলোকে যখন এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে ছোটাছু

বাংলাদেশের মনোযোগ অন্যত্র, কিন্তু টেনশনে নিউজিল্যান্ড! / দুলাল মাহমুদ

ছবি
এক ম্যাচ আগেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বেশ স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ। যদিও গ্রুপের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলা নিউজিল্যান্ড। এ ম্যাচ দু’ দলের কারো জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আগেই গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে কিউরা। আর এ ম্যাচে জিতলে কিংবা হারলে টাইগারদের অবস্থানের খুব একটা হেরফের হবে না। গ্রুপে তৃতীয় কিংবা চতুর্থ স্থানে থাকলে প্রতিপক্ষ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পাওয়া যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান কিংবা অন্য কোনো দলকে। খুব বেশি সম্ভাবনা রয়েছে ভারত অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার। তবে কে প্রতিপক্ষ, তাতে টাইগারদের খুব বেশি কিছু আসে-যায় না। বলা যায়, যাঁহা বাহান্ন তাঁহা তিপ্পান্ন। বরং প্রতিপক্ষ ভারত হলে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও সুবিধা পেতে পারে। কেন পাবে, তার কোনো সদুত্তর দিতে পারবো না। সব কথা তো আর পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে বলা (লেখা) যায় না। শ্যামল মিত্র আর আরতি মুখোপাধ্যায়ের যুগল কণ্ঠের জনপ্রিয় গানের ভাষায় বলা যায়, ‘কথা কিছু কিছু বুঝে নিতে হয়। সেতো মুখে বলা যায় না।’ সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে খুব বেশি সিরিয়াস হয়ে শক্তিক্ষ

বাঘ আর সিংহের লড়াই / দুলাল মাহমুদ

ছবি
ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড। তাদের সঙ্গে কারো তুলনা হয় না। সেই দিক থেকে বলতে গেলে নবিশ দল বাংলাদেশ। ব্রিটিশদের সুবাদে এ অঞ্চলে ক্রিকেটের চর্চা অনেক আগে হলেও এই দুই দেশের মধ্যে দুস্তর ব্যবধান। কিন্তু অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কখনো-সখনো ঘুচে যায় দূরত্ব। বিশ্বকাপ কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও সব কিছু মিলিয়ে ক্রিকেটের ‘সিংহ’ হিসেবে বিবেচনা করা যায় ইংল্যান্ডকে। আর শক্তিধর দল না হয়েও ‘বাঘ’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ। এবার প্রকৃতঅর্থে বাঘ এবং সিংহের লড়াই দেখতে পাবে ক্রিকেট বিশ্ব। এই দুই দলের এখন এমন এক অবস্থান, কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। শক্তির যতই হেরফের হোক না কেন, খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে ইংল্যান্ড আর এমন একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশও নিশ্চয়ই মুঠো আলগা করবে না। একটুখানি চেপে ধরতে পারলে ছিটকে পড়বে ইংলিশরা। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পুল ‘এ’-এর পয়েন্ট টেবিলের যা অবস্থা, তাতে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করা নিউজিল্যান্ড, সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার পর চতুর্থ কোন দল কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলবে, সেটা অনিশ্চিত হয়ে আছে। কে যাবে? বাংলাদেশ না ইংল্যান্ড? এই দুই দলই খেলেছে চারটি করে ম্যাচ। বাংলাদে

মনের বাঘে যেন না খায় / দুলাল মাহমুদ

ছবি
বাংলাদেশ কি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলতে পারবে? এককথায় এর উত্তর হতে পারে ফিফটি ফিফটি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে টাইগারদের যেখানে অবস্থান ছিল, এখনও সেখানেই আছে। অবশ্য সম্ভাবনা খানিকটা বেড়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রত্যাশিত ও স্বস্তির জয় পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়া গেছে একটি মূল্যবান পয়েন্ট। আর শ্রীলঙ্কাকে ঘোষণা দিয়ে হারাবে, এমন অবস্থায় এখনও পৌঁছায়নি টাইগাররা। তবে দুর্বল ফিল্ডিংয়ের প্রদর্শনী না দেখালে লঙ্কানদের সঙ্গে খেলাটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারতো। তিন ম্যাচে এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশ দলের বড় খামতি। এই খামতি দূর করার জন্য ইতোমধ্যে নজর দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যে দুই দলের বিপক্ষে পূর্ণ চার পয়েন্ট বলতে গেলে ‘পকেটে’ নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ অভিযাত্রায় এসেছে, তারমধ্যে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে আফগানদের সঙ্গে। এখন বাকি স্কটল্যান্ড। স্কটিশদের সঙ্গে দুই পয়েন্ট পেলে প্রথম ধাপ পেরিয়ে যাবে টাইগাররা। এরপরই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ পালে লাগবে জোর হাওয়া। তখন সহজাতভাবেই কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলার আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে উঠবে টাইগাররা।     ক্রিকেটটা একই উৎস থেকে পে

অমরত্বের ঠিকানায় ফিল হিউজ / দুলাল মাহমুদ

ছবি
জীবনের ধর্মই এমন, জীবন কখনো থেমে থাকে না। মৃত্যুর নৈঃশব্দের মাঝেই শোনা যায় জীবনের কোলাহল। এই নৈঃশব্দ, এই কোলাহল বিপরীতমুখী জীবনের দুই অনুষঙ্গ। অবস্থান করে পাশাপাশি। খেলার মাঠে যেমন জয়ের উল্টো পিঠেই থাকে পরাজয়। জয়-পরাজয়ই খেলার আনন্দ, খেলার সৌন্দর্য। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে অনুভব করা যায় না। জীবন এবং মৃত্যুও তদ্রুপ। মৃত্যু আছে বলেই তো জীবনের মহিমা বুঝতে পারা যায়। মৃত্যু যতই অপ্রত্যাশিত, অভাবিত ও অনাকাঙ্খিত হোক না কেন, তাকে অস্বীকার করা যাবে না। এ কারণে আমরা এমন সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, যা অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তব ও সত্য। গত ২৫ নভেম্বর সিডনি ক্রিকেট মাঠে অস্ট্রেলিয়ার শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের পেসার শন অ্যাবোটের তীব্র বাউন্সার মরণ ছোবল হানে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ফিল হিউজের গ্রীবায়। হেলমেটও তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন ক্রিজে। তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হার মানেন ২৬ বছর বয়সী জাত এই ক্রিকেটার। এক নভেম্বরে এসেছিলেন এই পৃথিবীতে, আরেক নভেম্বরে বড় নির্মমভাবে অকালেই চলে গেলেন। নিয়তির এক খামখেয়ালির শিকার হলেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। অবশ্য জীবনের

ফিল সিমন্স কি অনুপ্রেরণা হতে পারবেন? / দুলাল মাহমুদ

ছবি
ক্রিকেটার হিসেবে খুব বেশি হাঁকডাক ছিল না। মাঝারি মানের অল-রাউন্ডার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগের পড়ন্ত বেলায় খেলেছেন প্রায় এক যুগ। এ কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একদমই অপরিচিত নন। মূলত মারকুটে ব্যাটসম্যান ছিলেন। টপ-অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে কখনো-সখনো দলকে দেখিয়েছেন জয়ের মুখ। ২৬ টেস্টে সেঞ্চুরি একটি ও হাফ-সেঞ্চুরি চারটি। ১৪৩টি ওয়ান ডে ম্যাচে শতক পাঁচটি ও অর্ধ-শতক ১৮টি। মিডিয়াম পেসার হিসেবে মাঝে-মধ্যে এনে দিয়েছেন ব্রেকথ্রু। টেস্টে মাত্র চারটি পেলেও ওয়ানডেতে উইকেটের সংখ্যা ৮৩টি। সব মিলিয়ে ক্যালিপসো ক্রিকেটারদের মতো সাড়া জাগানো ছিলেন না। তিনি ফিল সিমন্স। বয়স ৫২। অপর জনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন। কিন্তু তেমনভাবে আলোচিত নন। গড়পড়তা মানের ক্রিকেটার ছিলেন। শ্রীলঙ্কার গৌরবোজ্জ্বল দিনে খেলেছেন প্রায় এক দশকের কাছাকাছি। অল-রাউন্ডারই ছিলেন। ব্যাট হাতে টেস্ট কিংবা ওয়ান ডে ম্যাচে কোনো সেঞ্চুরি নেই। ফিফটি যথাক্রমে আট ও চারটি। মিডিয়াম পেসার হিসেবেও নামডাক নেই। উইকেটপ্রাপ্তির সংখ্যা টেস্টে ১৭ এবং ওয়ানডেতে ১৪। ক্রিকেটার হিসেবে তেমনভাবে উজ্জ্বলতা দেখাতে পারেননি। তিনি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ব