পোস্টগুলি

2013 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একজন লড়াকু ক্রিকেটারের কথা/দুলাল মাহমুদ

ছবি
ক্রিকেটার হিসেবে তখন তিনি দেদীপ্যমান। ডানহাতি ষ্ট্যাইলিশ ব্যাটসম্যান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও উইকেটকিপার হিসেবেই তাঁর খ্যাতি ও প্রতিপত্তি। আক্রমণাত্মক মেজাজের ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর পরিচয়। তাঁর ঝলমলে ষ্ট্রোক প্লেতে হেসে ওঠে গ্যালারি। তাঁর সুইপ শটে ছড়িয়ে পড়ে মুগ্ধতার আবেশ। প্রাদেশিক ক্রিকেট দলের অন্যতম নির্ভরতা তিনি। শক্তিশালী পাকিস্তানি জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাম্পেও ডাক পেয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন টেষ্ট ক্রিকেট খেলা। সংগত কারণেই তাঁর ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান। তাঁর সামনে অপেক্ষা করছে ক্রিকেটের উজ্জ্বল রঙিন দিন। এমন একটি আলোকিত ও সম্ভাবনাময় জীবনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন তিনি। ভালোবাসার ক্রিকেটকে পরিত্যাগ করে বেছে দিলেন কঠিন ও রক্তিম এক পথ। দেশ মাতৃকার জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহূর্তও কার্পণ্য করেননি। ক্রিকেটের চেয়ে তাঁর বেশি ভালোবাসা এ দেশের মা-মাটি-মানুষকে। সাড়া দিলেন তাঁরই ডাকে। তিনি আবদুল হালিম চৌধুরী। জুয়েল নামেই সমধিক পরিচিত। ১৯৫০ সালের ১৮ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের দক্ষিণ পাইকশা গ্রামে জুয়েলের জন্ম। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে তি

‘অতীন্দ্রিয়’ এক দাবা প্রতিভা / দুলাল মাহমুদ

ছবি
দাবা একটি মেধার খেলা । বুদ্ধির খেলা । সূক্ষ্ণ কৌশল ও পরিকল্পনার খেলা । দাবা খেলতে হলে শিক্ষিত হবে , এমন কোনো কথা নেই । তবে লেখাপড়া জানা থাকলে দাবা খেলায় পারদর্শিতা দেখানো সম্ভব হয় । আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে হলে লেখাপড়া জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । সেক্ষেত্রে দাবার বই পড়তে হয় । দাবার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে হয় । তত্ত্বীয় জ্ঞান থাকতে হয় । তত্ত্বীয় জ্ঞান না থাকলে দাবা খেলায় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয় । আর তত্ত্বীয় জ্ঞান অর্জন করতে হলে তো লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই । আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাঁরা দাবায় সাফল্য দেখিয়েছেন , তাঁরা মেধাবী তো বটেই , শিক্ষিতও ছিলেন । দাবার ওপর অনেক বই পড়েছেন । তত্ত্বীয় জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন । এমনকি সামাজিকভাবে ছিলেন মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান । দাবা এমন একটি সময়বহুল খেলা , অশিক্ষিত হয়ে কিংবা দারিদ্র্যের সঙ্গে বসবাস করে অবস্থানগত কারণে দাবায় বড় কিছু করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না । কিন্তু দাবার ইতিহাসে ব্যতিক্রম ছিলেন একজন । লেখাপড়া জানতেন না । বইপত্র পড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না । কোনো তত্ত্ব জ্ঞানও ছিল না । ইংরেজিতে দাবার পরিভাষাও বুঝতেন না । বসবাস

ইউরোপীয় ক্লাবে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম ফুটবলার/ দুলাল মাহমুদ

ছবি
উপমহাদেশের ফুটবলের এক বিস্ময়কর প্রতিভা সালিম। অথচ তিনি একটি বিস্মৃত নাম। হারিয়ে গেছেন ইতিহাসের আড়ালে। ফুটবলের ইতিহাসে এখন আর তাঁর নাম উচ্চারিত হয় না। অথচ সত্যিকার অর্থে কিংবদন্তি ফুটবলার ছিলেন তিনি। তাঁর জীবন, তাঁর ক্রীড়াশৈলী, তাঁর উপাখ্যান রীতিমতো প্রবাদের মতো। তিনি ছিলেন কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের স্বর্ণযুগের ফুটবলার। আর স্বর্ণযুগের যাঁরা নির্মাতা, তিনি তাঁদের অন্যতম। এ কারণেও তাঁর হারিয়ে যাওয়ার কথা নয়। তবে তাঁর সবচেয়ে যেটি বড় পরিচয়, তিনি হলেন ইউরোপীয় ক্লাবে খেলা উপমহাদেশের প্রথম ফুটবলার। শুধু এ কারণেই তাঁর ফুটবলের প্রবাদপুরুষ হয়ে থাকার কথা। কিন্তু কেন যেন সেটা হয়নি। তবে সেই বৃটিশ ঔপনেশিক রাজত্বে তিনি যে  কীর্তি গড়েছেন, তা সম্ভব হয়েছে তাঁর অপরিসীম সাহস ও দুর্ধর্ষ ফুটবলশৈলীর কারণে। তিনি ছিলেন অসাধারণ ও ব্যতিক্রমধর্মী ফুটবলার। বিরলজাতের ফুটবলার বললে মোটেও অত্যুক্তি হয় না। তিনি খেলতেন খালি পায়ে। কর্নার কিক, ফ্রি-কিক বা একটু থামিয়ে সেন্টার করায় তিনি ছিলেন বিপক্ষের কাছে রীতিমতো বিভীষিকা। পায়ে যাঁদের বল থাকলে বিপক্ষের বুক দুরু দুরু করে, তিনি ছিলেন সেই জাতের ফুটবলার। তাঁর মতো খে