ষাট দশকের দুরন্ত গোলকিপার রানা/ দুলাল মাহমুদ
‘আমার মন-প্রাণ জুড়ে ছিল শুধুই ক্রিকেট। কিন্তু ঘটনাচক্রে হয়েছি ফুটবলার। ক্রিকেটার হবো বলে সেই লক্ষ্যে নিজেকে গড়ে তুলতে থাকি। সে সময় থাকতাম মণিপুরপাড়ায়। লেখাপড়ার হাতেখড়ি তেজগাঁও প্রাইমারি স্কুলে। ফার্মগেটের সঙ্গে কলেজ গেটের একটি ক্লাবের মধ্যে নিয়মিত আয়োজিত হতো ক্রিকেট ম্যাচ। খেলা হতো। পাশাপাশি ঝগড়াও। আমি খেলতাম ফার্মগেটের সেভেন বয়েজ ক্লাবে। অল-রাউন্ডার ছিলাম। ক্রিকেটার হিসেবে আলাদা একটা সমীহ পেতাম। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হই তেজগাঁও পলিটেকনিক হাইস্কুলে। আমার ক্লাসমেট ছিলেন মঞ্জু। ফুটবল খেলতেন। গোলকিপার ছিলেন। একটু খাটো ছিলেন। এ কারণে একটু দুর্বলতা ছিল। তার সঙ্গে ঘুরতাম। আমার উচ্চতার কারণে চোখে পড়ে যাই গেম টিচার ননী বসাক স্যারের সন্ধানী চোখে। ননী বসাক স্যার ছিলেন দেশসেরা ক্রীড়া সংগঠক, রেফারী ও স্কাউট আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। তিনি পকিস্তান স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের বিভিন্ন কোচিং ক্যাম্প পরিচালনা করতেন। স্কুল ও কলেজের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে পরিচালিত হতো এই ক্যাম্প। আমাদের স্কুল দলে গোলকিপিং পজিশনে দুর্বলতা থাকায় তিনি আমাকে ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কিন্তু আমি মোটেও ফুটবল...