পোস্টগুলি

জুলাই ১৩, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমি ক্লান্ত প্রাণ এক...... দুলাল মাহমুদ

ছবি
চার বছরের জন্য অস্ত গেল বিশ্বকাপ ফুটবল নামক জ্বলজ্যান্ত সূর্যটা। অস্তগামী সূর্যের ম্লান আলোয় ছড়িয়ে আছে ক্লান্তি আর অবসন্নতা। এখন আর কোনো উত্তাপ নেই। উত্তেজনা নেই। উদ্বেগ নেই। উৎকণ্ঠা নেই। চারিদিকে যেন ছড়িয়ে আছে থোকা থোকা বিষণ্নতা। কী যেন ছিল, কী যেন হারিয়ে ফেলেছি। চাইলেও তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। বুকের মধ্যে কী এক শূন্যতা গড়াগড়ি খায়। একটি মাস যে কীভাবে কীভাবে ঘোরের মধ্যে কেটে গেল, বুঝতে পারছি না। মাসব্যাপী এই মহোৎসব শেষ হয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছে, কতটা নিমগ্ন ও কতটা নিমজ্জিত ছিলাম। কতটা আন্দোলিত, কতটা আলোড়িত হয়েছিলাম। ‘দ্য গ্রেটেষ্ট শো অন আর্থ’ বদলে দিয়েছিল জীবনের দিনলিপি। দিনগুলোকে রাত আর রাতগুলোকে করে তুলেছিল দিন। জীবন থেকে কমে গিয়েছিল ভালোবাসার ঘুম। এলোমেলো দিনলিপিতে প্রতিদিনই ঘুম ভাঙতো একটা উদ্বেগ অর উৎকণ্ঠা নিয়ে। টের পেতাম উত্তাপ আর উত্তেজনা। কেন মনের উপর অকারণেই চাপ বাড়তো, বলতে পারবো না। অবশ্য অবসর আর অবকাশ বলতে তো কিছুই ছিল না। প্রকৃতঅর্থে জীবনটা হয়ে উঠেছিল বিশ্বকাপময়। ঘুমে, জাগরণে। অনুভবে, অনুভূতিতে। আবেগে, উচ্ছ্বাসে। বিশ্বকাপ ফুটবলের সঙ্গে নিবিড় সম্পৃত্ততার কারণে মাথার মধ্যে ঘুরপা

টপ-ফেবারিটদের বিশ্বকাপ ফুটবল / দুলাল মাহমুদ

ছবি
বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর আগে শিরোপার লড়াইয়ে ফেবারিটের তালিকায় অনেক দেশই ছিল। কিন্তু খেলা মাঠে গড়ানোর পর, আরো সুষ্পষ্টভাবে বললে, একটি করে ম্যাচ হওয়ার পর বোঝা যেতে থাকে, ফেবারিটের তালিকায় খুব বেশি নাম থাকার দরকার নেই। এই তালিকায় ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, জার্মানিই আলোচনায় উঠে আসে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনও এই তালিকায় থাকার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই স্প্যানিশরা যেভাবে বিধ্বস্ত হয়, তাতে তাদের নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কমে যায়। অবশ্য এমনিতেই প্রতিটি বিশ্বকাপ ফুটবলেই এই নামগুলোই ঘুরে-ফিরে আলোচিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই তালিকার বাইরের দলগুলো যে উঠে আসে না, সেটা নয়। প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপে কোনো না কোনো দল চমক সৃষ্টি করে সেমি-ফাইনাল অব্দি পৌঁছে যায়। এবার আর সেই চমক কারো পক্ষে দেখানো সম্ভব হয়নি। স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড থাকা সত্ত্বেও বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের শুরুর দিকেই টপ-ফেবারিট হিসেবে স্থান পায় জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত এবারের সেমি-ফাইনালে উঠে এসেছে এই চারটি দেশই। টপ-ফেবারিট হিসেবে চিহিৃত হলেই যে সেরা চার-এ দলগু

লাতিন ফুটবলের বিদায়ের ঘণ্টাধ্বনি কি বাজছে? দুলাল মাহমুদ

ছবি
ইউরোপীয়দের বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জিততে না দেওয়ার যে অহংকার ছিল লাতিন আমেরিকার, সেই অহংকার আর রইলো না। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে লাতিন আমেরিকা থেকে শিরোপা জয় করার গৌরব এখন জার্মানির। লাতিনরা একে একে হারিয়ে ফেলছে তাদের অর্জন, তাদের গৌরব, তাদের অহংকার। ইউরোপ থেকে প্রথম শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব ছিল ব্রাজিলের। ১৯৫৮ সালে সুইডেন থেকে শিরোপা জয়টা ছিল লাতিনদের একমাত্র উদাহরণ। এরপর ইউরোপ থেকে যেমন কেউ আর শিরোপা জিততে পারেনি। তেমনিভাবে পারেনি লাতিন থেকেও ইউরোপের কেউ শিরোপা জিততে। অনেক প্রতীক্ষার পর এবার জার্মানি জয় করলো লাতিন আমেরিকা। এটা লাতিনদের জন্য বড় ধরনের একটা সতর্ক সংকেত হয়ে রইলো। এরআগে এমন কখনো হয়নি যে ইউরোপ বা লাতিন আমেরিকা দুইবারের বেশি শিরোপা থেকে দূরে থেকেছে। এবার সেই দৃষ্টান্তও স্থাপন করলো লাতিন আমেরিকা। উপর্যুপরি তিনটি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলো না লাতিনরা। শিরোপা জয়ের দিক দিয়ে ইউরোপীয়দের সঙ্গে লাতিনদের ব্যবধানটাও বাড়লো। ইউরোপ ১১ এবং লাতিনরা ৯ বার শিরোপা জয় করেছে। এই ব্যবধানটা ক্রমশ বাড়তে থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমনিতেই নিজেদের মাঠে ইউরোপীয়রা অটল পাহাড়ের মতো। ৫৬ বছর আগে ব্রাজি

স্বপ্নের সূর্যটা যেখানে অস্তমিত / দুলাল মাহমুদ

ছবি
My mind always dancing when I'm here. The rhythm of the passion we can hear. The bossa nova beat that makes me move my feet. We are dancing in Brazil. ব্রাজিলে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের সময় যখন ঘনিয়ে আসছিল, তখন বুকের মধ্যে বাজতে থাকে রুমানিয়ান শিল্পী আন্দিয়া বানিকার ‘লাভ ইন ব্রাজিল‘। এই গানের সুর, ছন্দ, দোলায় নেচে উঠছিল মন-প্রাণ। শুনতে পাচ্ছিলাম উদ্দীপনার ছন্দ। দুলিয়ে দিচ্ছিল বোসা নোভা বিট। ব্রাজিলের প্রাণের স্পন্দন অনুভব করার জন্য একটু একটু করে প্রস্তুত হচ্ছিলাম। অপেক্ষায় ছিলাম ফুটবল, সাম্বা আর ভালোবাসার চিরায়ত রোমাঞ্চের। এমনিতেই বিশ্বের বিভিন্ন মাঠে দেখতে পেয়েছি ব্রাজিলীয় ফুটবলের লাবণ্য, গ্যালারিতে সাম্বার দোলা আর হলুদের অপরূপ শোভা। আর এবার ব্রাজিলের মাঠে বিশ্বকাপ! ভাবতেই কেমন শিহরণ লেগেছিল। লাগাম ছাড়িয়েছিল কল্পনা। বুঁদ হয়েছিলাম রোমান্টিকতার আবেশে। অনেক বেশি প্রত্যাশার রঙে রাঙানো ছিল মন। কত আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখেছিলাম। হায়! অনেক বেশি চেয়েছিলাম বলে কি অনেক বেশি না পাওয়ার বেদনায় জর্জরিত হতে হলো। কী চেয়েছিলাম আর কী পেলাম? ব্রাজিলীয় ফুটবল যে এতটা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, সে