আছি ক্রিকেটে আছি ফুটবলেও-২

প্রমীলা টেনিস এবং গ্ল্যামার

টেনিস একটি ‘পাওয়ার গেম’ হলেও খেলাটির প্রতি দর্শকদের আকর্ষণ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। কোনো খেলা যখন দর্শকদের আকৃষ্ট করে, তখন ধরে নেয়া যায় সে খেলাটি সম্পর্কে তাদের কম-বেশি জানা-শোনা আছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যারা টেনিস খেলা দেখেন, তাদের মধ্যে খুব কম দর্শকই খেলাটির নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কোনো পরিসংখ্যানের দ্বারস্থ না হয়েও আশপাশের টেনিস দর্শকদের জিজ্ঞাসা করলেই এর উত্তর পেতে বিলম্ব হবে না। আমাদের দেশের কথা না হয় বাদ দিলাম। যারা গ্র্যান্ডস্লামের মতো বিশ্বসেরা টেনিস প্রতিযোগিতায় দর্শক হিসেবে উপস্থিত থাকেন, তারাও এ খেলাটি সম্পর্কে খুব অল্প জানেন। তাতে যে টেনিস থেকে রস আস্বাদন করাটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তা বলা যাবে না। টেনিস খেলা দেখা বা উপভোগ করাটা নেহাত মন্দ নয়। বিশেষ করে প্রমীলা টেনিস দেখাটা বোধ করি চোখের জন্য দৃষ্টিসুখকর, মনের জন্য আনন্দদায়ক। প্রমীলা টেনিসে যেভাবে শক্তির সঙ্গে সৌন্দর্য ও গ্ল্যামারের সংমিশ্রণ ঘটছে, তাতে দর্শক জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তা অন্য খেলাগুলোকে সহজেই টেক্কা মেরে চলেছে। বড় কোম্পানিগুলোও প্রমীলা টেনিসের পেছনে যেভাবে কাড়ি কাড়ি অর্থ ঢালছে, তা থেকে এর জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও আঁচ করা যায়।
তবে সৌন্দর্য ও গ্ল্যামারের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সহজাত। যে কোনো পর্যায়ের তারকা ও মডেলকে সাধারণ মানুষ দেখে থাকেন লুব্ধ দৃষ্টিতে। ক্রীড়া তারকাদের নিয়ে ভক্তদের কৌতূহলের অন্ত নেই। আর সাফল্যের সঙ্গে যদি সৌন্দর্য আর গ্ল্যামারের মেলবন্ধন ঘটে, তাহলে তো একদম সোনায় সোহাগা। এ দুনিয়া তো বীর ও সৌন্দর্যের পূজারী। তবে সাফল্যের সঙ্গে অন্য কোনো কিছুর তুলনা হয় না। সফল কিংবা বিজয়ীর গলায় মালা পরানোটা এক চিরন্তন বিষয়। বিজয়ী কিংবা সফল মানুষকে ইতিহাস চিরদিন বুকে টেনে নেয়। কিন্তু সমসাময়িককালে কখনো-সখনো গ্ল্যামার আর সৌন্দর্যের আড়ালে চাপা পড়ে যায় সাফল্য। প্রমীলা টেনিসে এমনটি হরবখত দেখা যায়।
সাফল্যের দিক দিয়ে চেকোশ্লোভাকিয়ার মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা একটি কিংবদন্তি নাম। তিনি সর্বমোট এককের শিরোপা জিতেছেন ১৬৭টি। কোনো মহিলা তো দূরে থাকুক, কোনো পুরুষও এতগুলো শিরোপা জিততে পারেননি। সর্বকালের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এর মধ্যে এককেই ১৮টি গ্র্যান্ডস্লাম। ৩১টি গ্র্যান্ডস্লামসহ মহিলা দ্বৈতে রেকর্ডসংখ্যক ১৭৮টি শিরোপা এবং মিশ্র দ্বৈতে ১০টি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জয়ের বিরল গৌরব অর্জন করেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তিনি বিবেচিত হয়ে থাকেন। অথচ একটা দিক দিয়ে তিনি ছিলেন বেশ পেছনে। শারীরিক সৌন্দর্য, কমনীয়তা ও গ্ল্যামারের খামতির কারণে প্রচারের আলোয় তিনি তেমনভাবে উদ্ভাসিত হতে পারেননি। অথচ তারই সমসাময়িক ক্রিস এভার্টের দিকে বরাবরই ছিল মিডিয়ার সার্চ লাইট ফিট করা। এভার্টও ১৮টি গ্র্যান্ডস্লামসহ এককের শিরোপা জয় করেছেন ১৫৪টি। আর কোনোদিকে তিনি মন দেননি। তবে সাফল্যের মাপকাঠিতে তিনি মোটেও পিছিয়ে ছিলেন না। এ সাফল্যের কারণে তিনি আলোড়ন তুললেও তার শারীরিক সৌন্দর্য ও দেহসৌষ্ঠব বাড়তি আকর্ষণ হয়ে দেখা দেয়। এ কারণে নাভ্রাতিলোভার তুলনায় প্রচারের আলোয় ভেসেছেন বেশি। অবশ্য সাফল্য না পেলেও খুব বেশি তারতম্য ঘটতো বলে মনে হয় না। ‘সুইট সিক্সটিন’ বয়সে ফোরিডার আনকোরা স্কুলছাত্রী হিসেবে জাতীয় পর্যায়ের টেনিসে যখন পা রেখেছিলেন, তখন তিনি তার মায়াবী মুখশ্রী আর পনিটেইল করা চুল দিয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ভক্তদের।
নব্বই দশকে সাড়া জাগান জার্মানির স্টেফি গ্রাফ। এককে ২২টি গ্র্যান্ডস্লাম জয় করা চাট্টিখানি কথা নয়। অথচ একটি মাত্র গ্র্যান্ডস্লাম জিতে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন আর্জেন্টিনার গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনি। সাবাতিনি তার অনুপম দেহবল্লরী ও সৌরভ দিয়ে দর্শক হৃদয়ে আলাদা স্থান করে নিয়েছিলেন। এ কারণেই থাকতেন ফোকাসের কেন্দ্রবিন্দুতে। সাবাতিনি তো খেলোয়াড় হিসেবে মোটেও হেলাফেলার ছিলেন না; কিন্তু আনা কুর্নিকোভা? রূপের জেল্লা ছাড়া এই রুশ তরুণীর কিইবা এমন গুণ ছিল? কোনো গ্র্যান্ডস্লøামের শিরোপা জয় তো দূরে থাকুক, ফাইনালে পর্যন্ত উঠতে পারেননি। টেনিস কোর্টের চেয়ে তিনি বিভিন্ন ম্যাগাজিনের খুল্লাম-খোল্লা কভার-গার্ল হতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। রূপ-মাধুর্য আর মোহনীয় ভঙ্গিমা দিয়ে মাত করে দেন দুনিয়া। খেলার চেয়ে তার সেক্স অ্যাপিলই সবাইকে চুম্বকের মতো টানে। মিয়ামির রাজকীয় বাড়িতে লাইন পড়ে যায় স্পনসরশিপ আর এনডোর্সমেন্টের জন্য। সোনালী চুলের কুর্নিকোভাকে ‘ব্র্যান্ড নেম’ হিসেবে ব্যবহার করায় হু হু করে বেড়ে যায় পণ্যের কদর। গ্ল্যামারের মূল্যটাকে নতুনভাবে নিরূপণ করেন ‘ডার্লিং’ কুর্নিকোভা। তাকে আইডল বানিয়ে টেনিস কোর্টে ছুটে আসছেন সোভিয়েত ঘরানার টিন-এজাররা। চেহারা-ছুরত একটু খোলতাই হলেই তাদের চোখে স্বপ্ন কুর্নিকোভা হওয়া।
কুর্নিকোভা যে ‘গ্লাসনস্ত’ দেখিয়ে দিয়েছেন, তা অনুসরণ করে অনেকেই এসেছেন রূপের পসরা সাজিয়ে। এর মধ্যে সবই যে ‘মাকাল ফল’ তা বলা যাবে না। গ্ল্যামার জগতের হট-কেক হিসেবে এখন লাইম লাইটে আছেন রুশ তরুণী মারিয়া শারাপোভা। এ মেয়ের রূপ তো আছেই, গুণেও ঘাটতি নেই। ২০০৪ সালে উইম্বলডন এবং ২০০৬ সালে ইউএস ওপেন টেনিসের শিরোপা জিতে বুঝিয়ে দিয়েছেনÑ তিনি রূপে নয়, গুণেই ভোলাতে এসেছেন। এমন সর্বগুণাধার ‘পণ্য’ পেয়ে স্বভাবতই কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। ইতোমধ্যে তার হাতের মুঠোয় শুধু গত বছরই এনডোর্সমেন্ট থেকে এসেছে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী মহিলা অ্যাথলেট হলেন তিনি। তাকে মডেল হিসেবে পাওয়ার জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে তাবড় তাবড় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টের। তাকে বিজ্ঞাপনের ফাঁদ পাতা ভুবনে আটকানোর লক্ষ্যে দেয়া হচ্ছে প্রলোভনের নানা হাতছানি। কিন্তু কুর্নিকোভার মতো গ্ল্যামারের মোহনীয় ভুবনের কাছে আত্মসমর্পণ করতে রাজি নন শারাপোভা। একজন টেনিস খেলোয়াড়ের তুলনায় একজন মডেল হিসেবে বেশি জনপ্রিয়Ñ এমন রটনাকে তিনি নাকচ করে দেন। বুদ্ধিমতী এই টিন-এজের ভাবনাটা এমন : ‘ভবিষ্যতে আমার অনুভূতিটা কেমন হবেÑ এ মুহূর্তে তা বলা সম্ভব নয়। হয়তো দেখা যাবে, এক সুন্দর সকালে জেগে উঠে আমি আর টেনিস খেলতে চাইব না।’
শ্লোভাকিয়ার ড্যানিয়েলা হানতুচোভা খেলার চেয়ে বেশি মনোযোগী ক্যাটওয়াকে। ২৪ বছরের এই তরুণী টেনিস কোর্টে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারলেও দেহের মাদকতা দিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনারদের আকৃষ্ট করতে পেরেছেন। প্রমীলা টেনিসের গ্ল্যামার জগতের সর্বশেষ সংযোজন সার্বিয়ার আনা ইভানোভিচ। ৬ ফুট উচ্চতার এই তরুণী খুব অল্প বয়সেই টেনিসের মায়াজালে জড়িয়ে পড়েন। ১৯ বছরের এই সুদর্শনা আন্তর্জাতিক আঙিনায় সবে ফুল হয়ে ফুটছেন। পারফরমেন্সে বড় ধরনের চমক এখনো দেখাতে না পারলেও গ্ল্যামারের সবটুকু রসদ তার মধ্যে পুরোমাত্রায় বিদ্যমান। তার যৌবন জলতরঙ্গ রুধিবে কে? কৃষ্ণকলি হয়েও গ্ল্যামারের ঝলমলে জগতে আলো হয়ে থাকার কৌশলটা পুরোপুরিভাবে রপ্ত করে নিয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। টেনিস কোর্টে বিচিত্র সাজে তার যৌবন যেন ফেটে পড়তে চায়। প্রতিটি পলকেই অসংখ্য ক্যামেরায় বন্দি হয় তার নানা ভঙ্গিমা। সানিয়া মির্র্জাকে পেয়ে ধন্য হয়ে যায় ভারতের বিশাল কর্পোরেট জগত। টেনিস সার্কিটে আহামরি কিছু করতে না পারলেও তিনি যা করেছেন, তার আগে আর কোনো ভারতীয় মহিলা তা করতে পারেননি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তার নিষ্পাপ সৌন্দর্য। এ কারণে কর্পোরেট দুনিয়ায় তিনি শচীন টেন্ডুলকারের মতো মহাতারকার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়ান। টেনিসে এখন গ্ল্যামারটা বিক্রি হচ্ছে ব্ল্যাঙ্ক চেকে। পুরুষদের টেনিসকেও গ্ল্যামারাস করার জন্য চলছে নানা উদ্যোগ। এইতো সেদিন মাদ্রিদ মাস্টার্স টেনিসে হট স্কার্ট আর আঁটসাঁট শার্ট পরিয়ে বল কিডস হিসেবে নামিয়ে দেয়া হয় টিন-এজ উজ্জ্বল-উচ্ছল মডেলদের। আগামীতে টেনিস খেলাটা কি তাহলে ফ্যাশন প্যারেডে পরিণত হতে যাচ্ছে ?
দৈনিক ইত্তেফাক, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৭







সূচি

একজন শচীন টেন্ডুলকারের অকালে ঝরে যাওয়া!
ক্রিকেটের রেকর্ড বুকে যে রেকর্ড নেই!
বদলে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা
ক্রিকেট : খেলা না ভিডিও গেমস
ক্রিকেটে প্রযুক্তি
উপমহাদেশের ক্রিকেট যেন সোনার রাজহাঁস
সাগরতীরে ক্রিকেটের মহোৎসব
ভালোবাসা ও ঐক্যের দেশে বিশ্বকাপ
আকরাম খানের সেই ইনিংস
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ঘুম ভাঙিয়ে দিল বাংলাদেশ
দিন বদলের গান
সেই ক্যালিপসো, সেই নস্টালজিয়া
আর নয় পাকিস্তান, ভারত
ফুটবলের সেই আবেগ কোথায়?
ফুটবল ফিয়েস্তা
বিশ্বকাপ ফুটবল : অন্তহীন এক দীর্ঘশ্বাস
আমাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন
কর্পোরেট সংস্কৃতির বিশ্বকাপ ফুটবল
সর্বজনীন উৎসব বিশ্বকাপ ফুটবল
ঢাকার ফুটবল অন্ধকারে ঢাকা
ছোট আকাশের বড় তারা
টেনিস এবং গ্ল্যামার



নিবেদন

আমাদের প্রাণের খেলা ছিল ফুটবল। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ফুটবলের ধারে-কাছেই ছিল না আর কোনো খেলা। ফুটবলের উত্তেজনায় সমুদ্রের টেউয়ের মতো দুলেছে পুরো বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হয়তো খুব বেশি সাফল্য ছিল না, ছিল হৃদয়ের উত্তাপ। সেই ফুটবল ক্রমশ তার উত্তাপ হারিয়ে হয়ে পড়েছে নিরুত্তাপ। তবে ফুটবলের প্রতি আমাদের ভালোবাসায় মোটেও টাল খায়নি। চার বছর অন্তর অন্তর আয়োজিত বিশ্বকাপ ফুটবল এলে টগবগিয়ে ফুটতে থাকে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। এই মহোৎসবে নেচে ওঠে আমাদের মন-প্রাণ। নানা দেশের রঙ-বেরঙের পতাকায় বর্ণিল হয় চারপাশ। ফুটবলময় হয়ে ওঠে আমাদের দৈনন্দিন জীবন। রাত জেগে ফুটবল ফিয়েস্তায় আমোদিত হতে একটুও কষ্ট হয় না। তবে বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে আমাদের খেলাটা হয়ে আছে সুদূরের এক স্বপ্ন। বিশ্বকাপ ফুটবলে আমরা যতই উথাল-পাথাল হই না কেন, তার নাগাল পাওয়া আমাদের কাছে পরম এক আশ্চর্য হয়ে আছে। তাই বলে তো ফুটবলের অলৌকিক ঐশ্বর্য থেকে আমরা বঞ্চিত হতে পারি না। আমাদের বুকের মধ্যে ফুটবল নিয়ে আছে আবেগ, উচ্ছ্বাস, ভালোবাসা ও স্মৃতিকাতরতা। এটি হয়ে আছে আমাদের জীবনের বড় এক সম্পদ।
ক্রিকেট খেলাটা খুব বেশি আলোচিত ছিল না আমাদের কাছে। এর পরিসরও ছিল সীমিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা ছিল কারো কারো প্রিয় বিষয়। দেশের ক্রিকেট নিয়েও মাতামাতি তেমনভাবে ছিল না। সেই ক্রিকেট কী এক জাদুস্পর্শে ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে। যে ক্রিকেট ছিল কেবল শীতের অলস প্রহরের সৌন্দর্য হয়ে, তা যেন কেমন করে হয়ে ওঠে প্রতিদিনের বিনোদনের অংশ। হরণ করে নিতে থাকে আমাদের হৃদয়। শহরের কানাগলি, ড্রয়িং রুম, গ্রামের মেঠো পথ, ধান কাটা রুক্ষসূক্ষ্ম জমি, বাড়ির উঠোন, এমনকি ঝলসানো রোদের গ্রীষ্মের দুপুরও যে ক্রিকেটময় হয়ে উঠবে, তা কারো কল্পনায় ছিল না। ওয়ানডে, বিশ্বকাপ, টেস্ট ক্রিকেট ছিল অধরা সোনার হরিণ হয়ে, তা আমাদের একান্তই কাছের হয়ে ওঠাটা সত্যিই রীতিমত বিস্ময়কর। ক্রিকেটের কোনো কিছুই এখন আমাদের কাছে কোনো স্বপ্ন বা কল্পনা নয়, তুমুল বাস্তবতা। আর এই বাস্তবতায় দারুণভাবে নিমজ্জিত হয়ে আছি আমরা। এখন আর অন্য কোনো দেশ নিয়ে আমরা আর আপ্লুøত হই না। ক্রিকেটে আমাদের যা কিছু ভালোলাগা বা মন্দলাগা, তা আমাদের এই দেশ নিয়ে। আমাদের দেশাত্মবোধকে জাগিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট।
মৌসুমী পাখির কলকাকলিতে যেভাবে মাধুর্যময় হয়ে ওঠে প্রকৃতি, অনেকটা তেমনভাবে ফুটবল বা ক্রিকেটের বিশ্বকাপ এসে বাদ্যি বাজিয়ে আনন্দময় করে তোলে আমাদের যান্ত্রিক নাগরিক জীবন। আমাদের সবাইকে নাড়িয়ে দিয়ে যায় কম-বেশি। তার থেকে এই অধমও মুক্ত নন। তার প্রতিফলন টের পাওয়া যাবে এই গ্রন্থের পরতে পরতে। এর ফাঁকে ফাঁকে একটু টক-চাটনিও আছে। পাঠকদের ভালোলাগাই তার সার্থকতা।

দুলাল মাহমুদ
ফঁষধষসধযসঁফ@ুধযড়ড়.পড়স

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমাদের ফুটবলাররা

বাংলা ক্রিকেট সাহিত্য এবং শঙ্করীপ্রসাদ বসু / দুলাল মাহমুদ

আমাদের ফুটবলাররা-২

মেসিকে নিয়ে আশা, মেসিকে নিয়ে আশঙ্কা / দুলাল মাহমুদ

কোথায় সেই ফুটবল?

সোনালি অতীতের দিনগুলো / বশীর আহমেদ

ক্রীড়া, ক্রীড়াসংস্কৃতি ও ক্রীড়ালেখক সমিতি / দুলাল মাহমুদ

বিস্মৃতির অতলে সাঁতারু আরশাদ/ দুলাল মাহমুদ

ভলিবল খেলোয়াড় গড়ার কারিগর মোস্তাফা কামাল/ দুলাল মাহমুদ