ইউরোপ না লাতিন? দুলাল মাহমুদ
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলের একদম শুরু থেকেই দুই ভাগে বিভক্ত ফুটবল খেলা। একদিকে লাতিন আমেরিকা। অন্যদিকে ইউরোপ। দুই ঘরানার ফুটবলের দর্শনটা একদমই বিপরীতমুখী। লাতিনরা তো ঐতিহ্যগতভাবে মুক্তছন্দের কবিতার মতো। ফুটবলাররা খেলার মাঠে যেন পাখি হয়ে উড়তে চায়। বল পায়ে পড়লেই ছড়িয়ে দিতে থাকে নান্দনিক সৌন্দর্যের সৌরভ। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ঝলক দিয়ে জয় করে নেয় ফুটবল অনুরাগীদের হৃদয়। আক্রমণ গড়ে তোলে অনায়াস দক্ষতায়। নিজের খেলাটাই খেলে মনের আনন্দে। প্রতিপক্ষের কৌশল ও চাতুর্যতা নিয়ে খুব একটা মাথায় ঘামায় না। যে কারণে কাউন্টার অ্যাটাকে বিপদেও পড়ে যায়। এটাকে তারা আমল দিতে রাজী নয়। লাতিনদের জাতিগত বৈশিষ্ট্যই এমন। যা কিছু করে হৃদয় দিয়ে করে। আবেগটাকে সংবরণ করতে পারে না। সহজাতভাবেই ফুটবল মাঠে তার প্রতিফলন দেখা যায়। পক্ষান্তরে, ইউরোপের ফুটবলটা হচ্ছে হিসেবি খেলা। এখানে মনের কোনো কারবার নেই। শৃঙ্খলা মেনে মেপে মেপে খেলতে হয়। খেলার পরিমাপ করা হয় জয়-পরাজয় দিয়ে। জয়ের জন্য সব রকম কৌশলই প্রয়োগ করতে দ্বিধা করে না। প্রতিপক্ষকে অবাধে ছুটে চলার কোনো রকম সুযোগই দিতে চায় না। দলগত ক্রীড়াশৈলী দিয়ে খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে। এত বেশি স